চাকমা জাতির আদিনিবাস সন্ধানে-৫

ইতোপূর্বে পর্ব-৪ আমরা দেখেছি ত্রিপুরার রাজাদের ইতিহাসগ্রন্থ রাজমালার বর্ণনানুসারে কঙ্গলাই নামক পর্বতের দক্ষিণে চাথেঙ্গ নদী অবস্থিত, যা আমাদের বিশ্লেষণে চাটিআঙ বা চাটিগাঙ নামে প্রতিভাত হয়েছে, যা ছিল কর্ণফুলীর পূর্ব নাম। চাটিগাঙ নদীর নামানুসারে চাটিগাঙ শহরের নাম হয়েছে যা কালের প্রবাহে সংস্কৃতায়ন/বঙ্গীয়করণে চাটিগাঁ>চাটিগ্রাম থেকে বর্তমানে চট্টগ্রামে রূপান্তরিত হয়েছে।

মনে হয়েছিল কঙ্গলাই পর্বতশৃঙ্গ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু বিদ্যাদেবী মনে হয় সুপ্রসন্ন – আমার গত পর্বের লেখার পরপরই দেখি বন্ধু ও নিকট আত্মীয় Shaktinanda বাবু সাজেকের কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় বসে তোলা তাঁর ছবি সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে দিয়েছেন।

তাঁর সাথে আলাপ করে জানলাম কংলাক পাহাড় নাকি সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। এই কংলাক বা কঙ্গলাই পাহাড়ের দক্ষিণে চাথেঙ্গ বা চাদিগাঙ নদীর অবস্থান। চাদিগাঙ নদীর তীরেই চাদিগাঙ শহর। রামুতে যেমন চাকমারকূল, ফতেখাঁরকূল ইত্যাদি চাকমাদের স্মৃতিবিজড়িত এলাকার নাম রয়েছে তেমনি চাদিগাঙ বা চট্টগ্রাম শহরেও চাকমাদের রাজাদের স্মৃতিবিজড়িত অনেক স্থান দেখা যায়। তার মধ্যে ডিসি হিল বা ডিসির পাহাড় চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত অন্যতম নান্দনিক স্থান যার বর্তমান আনুষ্ঠানিক নাম নজরুল স্কয়ার। ইংরেজ শাসনামলের গোড়ার দিকে এখানে চাকমা রাজার বাড়ি ছিলো। পরবর্তীতে এখানে চট্টগ্রামের জেলা কমিশনারের (ডিসি) বাংলো স্থাপিত হওয়ায় কালক্রমে এই পাহাড় ডিসি হিল নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।

চট্টগ্রামের ডিসি হিল-এ চাকমাদের মহারাজা জানবক্স খাঁর রাজপ্রাসাদ ব্রিটিশ আমলে ইংরেজ বিভাগীয় কমিশনাররা দীর্ঘদিন (৫০ থেকে ৮০ বছর) তাঁদের বসবাসের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। সেই প্রাসাদটি আর নেই। ১৯৬০-৭০ এর দিকে সম্ভবতঃ বিভাগীয় কমিশনারের বাংলো নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঐ পুরোনো প্রাসাদকে ভেঙে ফেলা হয়। তার সন্নিকটে পাহাড়ের নিচে সম্ভবতঃ রাজার নির্মিত বেশ বড় একটা পুকুরও ছিল, যা হয়তো ভরাট করা হয়েছে। তবে পুকুরের পাড়ের রাস্তা ‘রাজাপুকুর লেইন’ নামে এখনো রাজার স্মৃতির জানান দেয়। তার সন্নিকটেই রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির, রাণীর দিঘী। সম্প্রতি আমাদের রাজা মহোদয় Raja Devasish Roy এর নিম্নের লিঙ্কে প্রদত্ত পোস্ট থেকে রাজা ধরম বক্স খাঁর এই প্রাসাদ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা যেতে পারেঃ

উক্ত পোস্টে যেমন বর্ণিত হয়েছে রাজা ধরমবক্স খাঁর উপরিবর্ণিত প্রাসাদে প্রাক্তন কমিশনারদের তোলা ছবির সাথে ঐ প্রাসাদের ছবি পাওয়া যেতে পারে। উক্ত প্রাসাদ চাকমাদের ইতিহাসের একটা অংশ। তাই রাজাবাবুর মতো এটার ছবি অন্বেষণে আমাদের সবার তৎপর হওয়া উচিত।
লিঙ্কটা ভবিষ্যতে অকার্যকার হতে পারে এই বিবেচনায় রাজাবাবুর পোস্টটা নিচে কপি করলাম।
From the Facebook Post of
Raja Devasish Roy
October 6 ·
CHAKMA RAJA DHARAM BUX KHAN’S PALACE IN CHITTAGONG CITY
Perhaps very few people in Bangladesh, even members of the Chakma Raj family, know much about the palace or mansion built by Maharaja Dharam Bux Khan (my grandfather’s, grandfather’s grandfather) in Chittagong city.
It no longer exists, having been demolished by the government, perhaps in the late 1960s or early 1970s, to construct a bungalow for the Divisional Commissioner of Chittagong. It was built in the 1820s or so (I can give the exact year later, after consulting the case records).
After the death of Dharam Bux, it was rented out, on a monthly basis, to be used as the residence of the Divisional Commissioner at a nominal rent, thereby contributing to the upkeep of the house and premises.
I wish to see photographs of it, but don’t have any. I am hopeful, however, of obtaining one or more.
Why am I optimistic about it? Because Divisional Commissioners and/or other senior government officials that used it as their official residence for 50-80 years, from the mid-1800s to the 1940s (the mansion and surrounding grounds were first requisitioned by the government during the World War II and later compulsorily acquisitioned in the late 1940s or early 1950s. Earlier it was part of the premises for which the government paid a tenant’s rent to the Chakma Raja).
Surely, the successive officials, their staff and/or their families must have taken photographs! The occupants were mostly British civil servants.
I have many reasons for being interested in the history related to this structure and their successive owners, occupiers and users.
Firstly, it was the townhouse of the last independent Chakma ruler (Dharam Bux Khan, died 1832).
Secondly, its construction is said to have been contributed to by the Tanchangya people (including the ancestors of the now Chakma people of the Bandukbhanga Mauza belonging to the Borbuo clan). This may throw much light on the Chakma-Tanchangya relationship.
Thirdly, it represents a strong trend whereby the Chakma Raj Estate sustained much loss to accommodate the needs of government officials for their residences and offices.
In the case of the Commissioner’s Bungalow, the Chakma Raj estate forbore a large percentage of the rent and thereby contributed to the upkeep of the building and its grounds (this is documented in a Court Case of which we have official transcripts).
Likewise, the present Deputy Commissioner’s Office in Rangamati stands on land compulsorily acquired by the government when I was a minor.
Similarly, I have heard family stories that the present DC’s Bungalow was actually the Chakma Raja’s Jum (Swidden) Field, until the time of Maharaja Dharam Bux Khan.
Fourthly, there may be written accounts by one or more inhabitants of the house, especially British people, who were generally rather good at keeping written records.
The contribution of the Tanchangya people I knew of earlier, from family stories, handed down through the generations. But this was confirmed beyond doubt by Bishwantar Chakma, the late Manager of the Chakma Raj Estate (deceased recently, and self-admitted to be descended from the Tanchangya people, whose ancestors eventually took Chakma identity of the Borbuo Clan), who even mentioned the role of a Portuguese architect/engineer. A pity that I didn’t record the conversation on disk.
I have written records of the structure, since it was the subject of at least two cases in the judicial courts in Chittagong and in the Supreme Court.
My grandfather, Raja Nalinaksha Roy sent reports on this case on the history of the structure’s construction, the rental of the premises, etc.
The second and last case was one which I had pursued, soon after I succeeded to the Chakma Chiefship in 1977, in which the Supreme Court ordered the government, in or around 1979, to pay to the Chakma Raj Estate the enhanced compensation sum of nearly 180,000 Takas (which I never received), deeming the earlier paid sum of about 370,000-380,000 Rupees insufficient.
The total area was nearly 11 acres (valued today at US$ 100 or thereabouts), including the “park” one can now see stretching from the Nandan Kanon Buddhist Temple, “DC’s Hill” to Momin Road near the Jamal Khan Road intersection.
Serious students of history are more than welcome to pursue me too get more details, if interested. Our achieves have the records of two cases and other documents, including the descriptions and measurements of the structure done by civil engineers.
For the moment, I would be happy to locate write-ups and photographs of the Commissioner’s Bungalow from archives in Chittagong, Dhaka, Kolkata, Delhi or London. More likely, private archival collections from the successive British Divisional Commissioners’ families, whose number must be at least 20-25, spanning 70-80 years!
The first thing we have to do is to get the names of the Divisional Commissioner of Chittagong, starting from the early British period to the World War II. I am asking for volunteers to help me. Then of course, to consult the records in Chittagong and Dhaka, among other places.
[I will try to do a Bengali translation of this. But others are also welcome to do so].

চাকমা জাতির আদিনিবাস সন্ধানে-১ পড়তে ক্লিক করুন।

চাকমা জাতির আদিনিবাস সন্ধানে-২ পড়তে ক্লিক করুন।

চাকমা জাতির আদিনিবাস সন্ধানে-৩ পড়তে ক্লিক করুন।

চাকমা জাতির আদিনিবাস সন্ধানে-৪ পড়তে ক্লিক করুন।

লেখক: পুলক খীসা